একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে হরিলুট শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার বিগত চৌদ্দ বছরে দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক লুটেপুটে খেয়ে কোষাগার শূন্য করেছে। সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ব্যাংকের ঋণ গ্রাহকদের অনেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকগুলোর ক্ষেত্রে ঋণের বিপরীতে জামানত নেই। সরকারের নীতি নির্ধারকদের গ্রিন সিগন্যাল ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে- ভুয়া দলিল বন্ধক রেখে রাষ্ট্রায়ত্ত ‘অগ্রণী ব্যাংক লি.’ থেকে সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লি.’। ব্যাংকটির অসাধু কর্মকর্তারা এই ঋণপ্রাপ্তিতে সহযোগিতা করেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিবেদন- নোমান গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্যিক লেনদেনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করলেও সতর্ক হয়নি কোনো ব্যাংক। এভাবেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো লুটেপুটে খেয়ে শেষ করেছে দিয়েছে অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তারা। সরকার দলীয় কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে ঋণ মঞ্জুর করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। প্রতিবেদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে বেরিয়েছে এসব তথ্য।
মহাসচিব বলেন, দেশের অর্থনীতি লুটপাট করে সাধারণ মানুষকে সংকটের মুখে ফেলে দিয়ে তারা এখন উন্নয়নের ভুয়া রেকর্ড বাজাচ্ছে। সরকারের এহেন ফাঁকা আওয়াজ দেশের মানুষ বুঝে গেছে। আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দেশের জনগণ অতীত ও বর্তমানের দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখান করবে- তা টের করতে পেয়ে আগামীতেও যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার ফন্দিফিকির করছে।
২১ ডিসেম্বর ২০২২ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতী মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তিনি ২ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সম্মেলন দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন।