যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়াই টিকিটের মূল্য তিনগুণ মেনে নেয়া যায় না
– পীর সাহেব চরমোনাই
সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসী কর্মীদের টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, করোনা মহামারির কারণে যখন বিশ্ববাসী চরম বিপর্যস্ত, তখন এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে বিমানের টিকিট দু’ থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে; যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এতে চড়া দামে টিকিট কিনতে বিদেশগামী কর্মীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পীর সাহেব বলেন, ঢাকা-রিয়াদ একজন কর্মীর ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য ছিল ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের বিমান ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজার হাজার বিদেশগামী কর্মী টিকিটের টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে অভিবাসন ব্যয় হু হু করে বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যে, এসব দেখার কেউ নেই। চড়া দামে মধ্যপ্রাচ্যের টিকিট কিনতে নাভিশ্বাস উঠলেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নির্বিকার। এয়ারলাইন্সগুলো এ সুযোগটিকে হাতছাড়া না করে টিকিটের মূল্য বাড়িয়েছে। যাদের কষ্টে দেশে রেমিট্যান্স আসে, সেই বিদেশগামী কর্মীদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হয় দেশে ও বিদেশে। প্রবাসীদের কষ্টের সীমা নেই, টাকা দিয়েও তারা সেবা পাচ্ছে না। এসব যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।
তিনি বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা বিজনেস ক্লাসের টিকিট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনে মধ্যপ্রাচ্যের কর্মস্থলে যাচ্ছেন। তিনি বিদেশগামী কর্মীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিতকরণে সকল এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার জোর দাবি জানান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটিরও ওপরে বাংলাদেশি কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন।
পীর সাহেব চরমোনাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। সেই সাথে এয়ারলাইন্স টিকেট সিন্ডিকেটগুলোর হাত থেকে প্রবাসী কর্মীদের বাচাঁনোর আহ্বান জানান।