ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, আজ দ্বিতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে ১৬১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের অতীত স্বভাবের প্রতিফলনে এই নির্বাচনেও কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া, ভোটদানে বাঁধা, হাতপাখার এজেন্ট বের করে দেওয়া ও সশস্ত্র মাস্তানির মহড়া দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও একবার কলঙ্কিত করলো আওয়ামী লীগ সরকার। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগে ক্রমাগতই এই বাঁধা আওয়ামী লীগকে জনগণের মুখোমুখি ও শত্রুতে পরিণত করেছে।
আজ বিকেলে এক নির্বাচনোত্তর পর্যালোচনায় সভায় দলের মহাসচিব এসব মন্তব্য করেন। এতে অংশ নেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।
মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ দালালি, নগ্ন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রমাণিত অক্ষমতা সত্বেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে হুমকি-ধমকি, মনোনয়ন জমাদানে বাঁধা ও অব্যাহত ত্রাস অতিক্রম করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৫২টি ইউপিতে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রচারণা ও জনতার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বারংবার নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি। তারপরেও আজ যা হয়েছে তা এই সরকারের পূর্বতন নোংরামির পুনরাবৃত্তি। শক্তি প্রয়োগ করে আক্ষরিক অর্থেই ভোট ডাকাতি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি এবং এই ভোট ডাকাতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নে যারা হাতপাখা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বা ভোট দেয়ার নিয়ত করেছিলেন এবং যারা হাতপাখার পক্ষে কাজ করেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। ইসলামের পক্ষে আপনাদের এই অবস্থান দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণের উসিলা হবে, ইনশাআল্লাহ।