ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল নাগরিক সেবা প্রদানে নির্বাচনী অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, আমি নির্বাচিত হলে, মানবিক কারণে পায়ে চালিত রিক্সা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হবে। ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইজি-অটোবাইক এবং জ্বালানি তেল চালিত মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য হালকা যানসমূহের লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে। উক্ত লাইসেন্স শুধুমাত্র প্রকৃত ড্রাইভারগণকেই প্রদান করা হবে। খুলনা সিটির বিভিন্ন গাড়ীর স্ট্যান্ড ও মালামাল উঠা-নামার ঘাট সমূহে সকল ধরণের চাঁদাবাজী বন্ধ করা হবে। ৩০% হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে।
মাওলানা আব্দুল আউয়াল আরো বলেন, কেসিসি’র বর্ধিতকরণ প্রকল্পে যে সকল নতুন এলাকা সমূহ যুক্ত করা হয়েছে, সে সকল এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ (পাঁচ)
বছরের জন্য মওকুফ করা হবে। তাদের পানির লাইন বিনা খরচে প্রদান করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন এলাকার রাস্তাঘাট ও স্যুয়ারেজ লাইন
মানসম্মতভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষে বাস্তবসম্মত প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। টেকসই ও উন্নত রাস্তা-ঘাট নির্মাণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেসিসিতে টেন্ডার হবে কিন্তু টেন্ডারবাজি হবে না। ই-টেন্ডারিং চালু করা হবে। কেসিসির সামগ্রিক আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে ।
আজ ৪ জুন রবিবার সকাল থেকে নগরীর ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ডের শিপইয়ার্ড বান্দা সিমেন্ট ফেক্টরী মোখতার হোসেন বাজার বান্দা বাজার জিন্নাহ পাড়া বাজার চানমারি বাজারে ও বিকালে ইষ্টান রোড, কমিউনিটি সেন্টার চানমারি খালপাড় মদিনা বাজার জিন্নাহ পাড়া বান্দার মোড় এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
আব্দুল আউয়াল বলেন, “ প্রিয় সিটি কর্পোরেশন বাসী, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আজ মারাত্বক হুমকির মুখে। এ চরম দুরাবস্থার কারণ এবং তার সমাধান আমাদের উদঘাটন করতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট হওয়া সত্ত্বেও সিটি কর্পোরেশনে কাঙ্খিত মানের উন্নয়ন হলো না কেন? কাম্যমানের নাগরিক সুবিধা কেন নিশ্চিত হলো না এ জিজ্ঞাসা সকল নাগরিকের। বারংবার মুখোরোচক শ্লোগানের ধোকায় আমরা আর কতবার নিপতিত হবো। এ থেকে আমাদের সরে আসতে হবে । তিনি আরো বলেন, খুলনা সিটির এ দুরাবস্থার জন্য মূল কারণ হল – দুর্নীতি, টেন্ডারবাজী, অপরিকল্পিত কর্মকান্ড ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ক্ষমতাসীন দলের অশুভ প্রভাব-প্রতিপত্তি। এ কারণে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড টেকসই হয়না। সিটি কর্পোরেশন আজ একটি অশুভ কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠির সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে । তা না হলে ঐতিহ্যবাহী শিল্পনগরী খুলনার সিটির এ করুন দশা হতে পারে না। আমি নির্বাচিত হলে এ অবস্থার পরিবর্তন করবো ইনশাআল্লাহ। অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষে আগামী ১২ জুন হাতপাখা মার্কায় ভোট
দেবার আহ্বান জানান তিনি।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতী আমানুল্লাহ, সমন্বয়কারী মুফতি ইমরান হুসাইন,সহ- সমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, অর্থ সমন্বয়নকারী আবু গালিব, সহ সম্বয়নকারী রবিউল ইসলাম
তুষার, মিডিয়া সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফেরদৌস গাজী সুমন, গনসংযোগ সমন্বয়কারী মোঃ সাইফুল ইসলাম,সহ-গণসংযোগ সমন্বয়কারী মুহ. মঈন উদ্দিন সহ মিডিয়া সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, এম এ সাদী, হাবিবুল্লাহ গাজী, মোস্তফা আল গালীব, হাবিবুল্লাহ মিসবাহ সহথানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।