ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। চাল-ডাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেল, শিশু খাদ্য ও শাক-সবজির মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। কোথাও সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজার দর বৃদ্ধিতে মানুষ অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে একদল মুনাফাখোর। চাল, ডাল ভোজ্য তেলসহ দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বীতে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে অল্প এবং মধ্য আয়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কুল-কিনারা থাকবে না।
তিনি বলেন, এমনিতেই মহামারি করোনার কারণে মানুষ বিপর্যস্ত। তার উপর জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে কষ্টে নিপতিত করছে। তাই কঠোর হস্তে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কালোবাজারীদের কালো থাবা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, চালের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এবার বেড়েছে আটার দাম। প্রতিকেজি আটা ২৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৭ টাকা। সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বাদ যায়নি মসুর ডাল, ডিম, মাছ ও মাংসের দামও। এক কথায় অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার।