ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, একজন রাজনীতিবিদ ও সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি এতোটা নোংরা, অসভ্য ও ইতর হতে পারে তা জানা ছিল না। এধরণের বিকৃত মানসিকতার অধিকারী রাজনীতিবিদ থেকে জাতি কী শিখবে? দেশের একজন মন্ত্রী হয়ে যেভাবে কথা বলছে তাতে সভ্য মানুষের বসবাসের অবস্থা নেই। ডা. মুরাদের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে লজ্জিত ও বিব্রত না হয়ে পারা যায় না।
নেতৃদ্বয় বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক ইসলাম ও মুসলমানবিরোধী বক্তব্য এবং বিভিন্ন নারী জাতি সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য পুরো জাতিকে বিব্রত করে তুলেছে। ইসলাম, আল্লাহ, রাসূল সা. কোরআন, হাদিস এবং দেশের ৯২ ভাগ জনগণের ঈমান, আক্বিদা, বিশ্বাস ও অনুভূতির বিরুদ্ধে তার বক্তব্য বিবৃতি জাতিকে বিষিয়ে তুলেছে। ডা. মুরাদ হাসান দেশী বিদেশী ইসলামবিরোধী বড় কোন চক্রের মিশন বাস্তবায়ন করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আবেগ, অনুভূতি ও বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করে রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে না। মুরাদ হাসানের ইসলামবিরোধী বক্তব্যে দেশের ইসলামপ্রিয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ আজ চরম ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। দেশের জনগণের অনুভূতির প্রতি শ্রমদ্ধা প্রদর্শণ করে মুরাদের মতো অসভ্য ও বর্বর ব্যক্তিদেরকে মন্ত্রীপরিষদ থেকে অপসারণই যথেষ্ট নয়, বরং কঠোর শাস্তিও হওয়া উচিত। তাহলে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।