জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পর এবার বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করছে বিইআরসি। বিইআরসি’র দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, জনজীবনে চরম অস্বস্তি নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান।
এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, বিদ্যুতের পাইকারি দর প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে বিইআরসি; যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। গ্যাস সঙ্কটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ। প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। এতে সারাদেশে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দিনে ৫ থেকে ৬ বার এবং গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিং হচ্ছে। আর আবাসিক এলাকায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রান্নার চুলা জ্বলছে না। শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুতের কারণেই। এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, গ্যাসের দাম বেড়েছে, ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দামও। করোনা মহামারির ফলে সাধারণ মানুষ এখনও আর্থিক সংকট কাটিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এরমধ্যে একেরপর এক সবকিছুর দাম বাড়ানোর ধাক্কা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। এসব দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। সব জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি। কোন অজুহাতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। বিইআরসি কর্তৃক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে অবশ্যই নাকচ করতে হবে।