বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সিলেট বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম (৭৬) বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ১ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ইন্তেকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
১৬ জুলাই ২০২১ এক শোকবাণীতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম একজন জেনারেল শিক্ষিত মানুষ হয়েও অনেক আমলদার ছিলেন। পথভোলা মানুষকে পথের দিশা দিয়ে সত্যিকার মানুষ গড়ার লক্ষে কাজ করে গেছেন। তিনি দীনের একনিষ্ঠ দায়ী ছিলেন। দীন বিজয়ের আন্দোলনেও তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। তিনি বহু মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলেন। ছিশতিয়া সাবেরিয়া ত্বরিকার মাধ্যমে তিনি দীনের অনেক খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন; যার অভাব দীর্ঘদিন অনুভূত হবে।
মহান রব্বুল আলামিন মরহুমের সকল নেককাজগুলো কবুল করে জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং পরিবার পরিজনকে সবর করার তাওফিক দিন, আমীন।