৫৫/বি (৩য় তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০২-৯৫৬৭১৩০, ফ্যাক্স : ০২-৭১৬১০৮০

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্তে লিপ্তরাই স্বাধীনতাবিরোধী

ইসলামী আন্দোলন বাংলদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য একটি মহল নতুন করে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মতো একটি মীমাংসিত ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ওই মহলটি কিছুদিন পরপর একটু নাড়া দিয়ে দেখে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে? রাষ্ট্রধর্ম ইস্যুটি ২০১৬ সালে আদালত মীমাংসা করে দিয়েছে। তাই এই বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক তোলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রীর বক্তব্য ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উন্নয়নের জন্য বড় বাধা’ এধরণের বক্তব্য সংবিধান পরিপন্থী। মন্ত্রী হয়ে একটি মীমাংসিত বিষয়ে তিনি বক্তব্য কিভাবে দেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আল্লামা মকবুল হোসাইন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যারাই ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, তারাই এক সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল নিয়ে চক্রান্ত বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, একটি দেশে অনেক ধর্মের বসবাস থাকতে পারে। দেশের জনগণ একাধিক ধর্মবিশ্বাসী হতে পারে। কিন্তু প্রতি দেশের নির্দিষ্ট একটি ধর্ম থাকে। যে ধর্মবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে টিকে থাকে দেশ। নির্ধারিত হয় সে দেশের জনগণের পরিচয়। আর এটা নির্ধারণ করা হয় দেশের অধিকাংশ জনগণের উপর ভিত্তি করে। যে দেশে যে ধর্মের জনগণ বেশি হয়, সে দেশে সেটাই হয় রাষ্ট্রধর্ম বা রাষ্ট্রের প্রধানধর্ম। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী; যা দেশের সংবিধানেও লিপিবদ্ধ করা আছে।

মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র করতে হবে, তাতেই সংখ্যালঘুদেরও পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা থাকবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার চক্রান্তে যারা লিপ্ত রয়েছে তারা এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী। তারা দেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। সরকার যদি চক্রান্তকারীদের সমর্থন করে তাহলে তার পরিণাম শুভ হবেনা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে অর্থনৈতিক শোষণ-বৈষম্য ও জুলম-নির্যাতন থেকে মুক্তিলাভের জন্য। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। সুতরাং ইসলামবিরোধী যেকোন চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে জনগণ পিছপা হবে না।

শেয়ার করুন

অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি

Scroll to Top

সদস্য ফরম

নিচের ফরমটি পূরণ করে প্রাথমিক সদস্য হোন

small_c_popup.png

প্রশ্ন করার জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করে পাঠিয়ে দিন