ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দেশে কোন নির্বাচন কমিশন আছে বলে মনে হয় না। আওয়ামীলীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে দেশ এক চরম পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে এসেও মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছে না। জনগণ তাদের পছন্দের প্রাথীদের ভোট দিতে পারছে না। ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ২৭জন মানুষের মৃত্যু হওয়া অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আজকের দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে জাল ভোট দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। গাংনীতে জোর করে নৌকায় সীল মারা, বগুড়ায় আনসার সদস্য দিয়ে নৌকার বাক্স ভরা, জামালপুরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা, কালকিনিতে ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে গোলাগুলি, বাজিতপুরে বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রবেশ করতে না দেয়া, লক্ষীপুরের চরকাদিরায় হাতপাখার ২১ জনকে আটক; এসব ঘটনাবলী কী প্রমাণ করে? নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে হাতপাখার প্রার্থীর ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং চাপ প্রয়োগ করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করানো এবং হোমনার যুবলীগ নেতা কর্তৃক হাতপাখার প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম ছিড়ে ফেলা এবং প্রার্থীকে মারধর করার ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশ এক ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে যাওয়ার অশুভ ইঙ্গিত বহণ করে।
মহাসচিব আরো বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে। বলা যায় নির্বাচনকে নির্বাসনে দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার আজ চরমভাবে ভুলণ্ঠিত। এভাবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চলতে পারে না।
আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
* নারায়গঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত
সভায় বিশেষ কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।