৫৫/বি (৩য় তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০২-৯৫৬৭১৩০, ফ্যাক্স : ০২-৭১৬১০৮০

কর্মসূচিতে বাধা, ক্ষোভ ইসলামী আন্দোলনের

পত্রিকা

তারিখ

ক্যাটাগরি

কোড

অনুলিপি

বরিশাল নগরে রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অভিযোগ তুলেছে। দলটির বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে করতে দেয়নি বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। একটি সম্মেলনের প্যান্ডেলও ভেঙে দেওয়া হয়।

এই অবস্থায় ভেন্যু পরিবর্তন করে তিনটি সম্মেলনই করেছে দলটি। সম্মেলনগুলোয় আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে আগামী নির্বাচনে ব্যালটে জবাব দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল।

দলটির দায়িত্বশীল নেতারা দাবি করেছেন, বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের ঘাঁটি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাঁরা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হবে এমন আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ বৈরী আচরণ করছে। তবে চরমোনাই পীরের দলকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সম্মেলন করতে ভেন্যু চেয়েছিল বরিশাল নগর ভবনের সামনে। আগের দিন বুধবার অশ্বিনী কুমার হলে মহানগরের সম্মেলন করতে চেয়েছিল দলটি। প্রশাসনের আপত্তিতে উভয় সম্মেলন করতে হয় অন্য ভেন্যুতে। এর আগে মঙ্গলবার ঈদগাহ ময়দানে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন করতে গেলে ওই কর্মসূচির প্যান্ডেল ভেঙে দেয় সিটি করপোরেশন।

সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. মিজানুর রহমান আদিল জানান, ঈদগাহ মাঠের মালিক আছমত আলী খান ইনস্টিটিউশন (একে স্কুল) কর্তৃপক্ষের কাছে মাঠ ব্যবহারের লিখিত অনুমতি নেন তাঁরা। কিন্তু আকস্মিক সিটি করপোরেশনের লোকজন গিয়ে প্যান্ডেল ভেঙে ফেলে। পরে মঙ্গলবার রাতে সম্মেলন হয়েছে বেলতলা মাহমুদিয়া মাদ্রাসায়।

গতকাল নগরের আমতলার মোড়ে দলটির জেলা সম্মেলন হয়। এ ছাড়া বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত দলটির নগর সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে এই চোরদের বিরুদ্ধে ভোট বিপ্লব হবে।’

জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী সিটি নির্বাচনে হয়তো ইসলামী আন্দোলন আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে। সে কারণে বৈরী আচরণ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহানের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুককেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘ঈদগা ময়দান কি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি করার জায়গা? ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের নামে চরমোনাই পীরের দল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে চেয়েছিল। সিটি করপোরেশন তাই অনুমতি দেয়নি। আমরা সিটি নির্বাচনে ওনাদের (ইসলামী আন্দোলন) প্রতিদ্বন্দ্বীই মনে করি না।’

ইপেপার লিংক

নিউজ পোর্টাল লিংক

শেয়ার করুন

প্রোগ্রামে বাধা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রেস কাটিং

Scroll to Top

সদস্য ফরম

নিচের ফরমটি পূরণ করে প্রাথমিক সদস্য হোন

small_c_popup.png

প্রশ্ন করার জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করে পাঠিয়ে দিন