গাজায় যুদ্ধবিরতি মৃত্যুপ্রায় মানুষের জন্য স্বস্তির তবে কোন অবস্থাতেই স্বাধীন ফিলিস্তিনের বিকল্প নয়
-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আজ ৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার মিশরে অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইজরাইলি সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত এক চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আক্ষরিক অর্থেই এক সাগর রক্তের পরে, সরকারী হিসেবে ৬৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর পরে সাক্ষরিত এই চুক্তি আসলে কোন আনন্দের না বরং বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থার দুর্বলতাকেই ফুটিয়ে তুলেছে। বিশ্বব্যবস্থার অমানবিকতাকে প্রকট করেছে; কারণ এমন একটা চুক্তিতে পৌছানোর জন্য হাজারো শিশুকে জীবন দিতে হয়েছে। এই চুক্তির আরেকটি নির্মম দিক হলো, খুনি ও হানাদার বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে কিছু তো নাই-ই বরং পুরো চুক্তি তাদের মর্জির ওপরে নির্ভর করছে। তথাপিও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে হামাসের স্বীকৃতি এবং গাজ্জায় মানবিক সহায়তা পৌছানোর মতো পরিবেশ তৈরি হওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই চুক্তিকে স্বাগত জানায়। একই সাথে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের চিরন্তন দাবীও পুনর্ব্যক্ত করে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিশ্বমানবতার জন্য ইজরাইল যে কত বড় হুমকি তা আবারো বিভৎসরুপে পরিস্কার হয়েছে। পশ্চিমা নাগরিকদের প্রতি আহবান থাকবে, এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আপনাদের যে বোধদয় ঘটেছে তা জাগরুক রাখুন। আপনাদের সরকারের ওপরে চাপ অব্যহত রাখুন। যাতে করে পশ্চিমা শক্তির ওপরে ভর করে ইজরাইলিরা আর নৃশংসতা চালাতে না পারে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বাংলাদেশি নাগরিক আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের নিরাপত্তা ও মু্ক্তির ব্যাপারে সরকারকে জোড়ালো পদক্ষেপ নেয়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।