কাগজ প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে বায়তুল আজিম জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা, প্রতিবাদ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূরক শাস্তি দাবি করেছে। দোষীদের শাস্তি না হলে জোট সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামী জনতা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গতকাল বিকেলে মুক্তাঙ্গনে আয়োজিত ছাত্র-জনতার সমাবেশে চরমোনাইর পীর সৈয়দ ফজলুর করীম বলেছে, বর্তমান জোট সরকারের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। পীর মোসলেহউদ্দিন হত্যা, একই পরিবারের ৬ জন হত্যা, বগুড়ায় মসজিদের ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের ভেতর পুলিশি নির্যাতন এবং সবশেষে মালিবাগ মসজিদ নিয়ে ৪ জনকে গুলি করে হত্যার মত অপকর্ম বিএনপি ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভ নয়্ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলেও এ রকম জঘন্য ঘটনা ঘটেনি। মালিবাগের ঘটনার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। দ্রুত বিচার করতে হবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের। তা না হলে দোষীদের বিচার করব আমরাই। চরমোনাইর পীর বলেন, ইসলামের নামে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যারা বিএনপির সঙ্গে আছে তারাই ইসলামের বড় শত্রু। তারা এখন বিএনপিকে রক্ষা করতে দালালি করছে। এদের দিয়ে ইসলামের কোনও উপকারও হবে না। সভায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আহমদ আবদুল কাইয়ুম সভাপতিত্ব করেন।
ঢাকা মহানগর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশের আয়োজন করে। মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েতউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজি, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, আবু সাঈদ সিদ্দিকী, শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ।
সমাবেশের প্রধান অতিথি মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী বলেন, ইসলামের কথা বলে ক্ষমতায় আরোহণকারী চারদলীয় জোট সকারের আমলে মসজিদ রক্ষা করতে গিয়ে ৩জন মাদরাসা ছাত্রসহ ৪জনকে শাহাদাত বরণ করতে হবে দেশবাসী কখনও কল্পনা করেনি। কার ইঙ্গিতে, কোন সুদূরপ্রসা
ইঙ্গিতে, কোন সুদূরপ্রসারী নীলনকশায়
পাখির অতো পততি। চালিয়ে হত
করা হল দেশবাসী তা জানতে চার।
অবিলম্ছে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
অধ্যাপক মাওলানা এটিএফ
হেমারেতউদ্দিন সমাবেশের ৪ ফা দোবি
পন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে,
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, দোষীদের
সুলকারলোতি, নিহতদের প্রত্যেকের
২০ লাখ করে টাকা ক্ষতিপূরণ,
হিসাবে প্রদান, ইহশ্রিনিয়ার তৌফিক ও
রমনা থানা ছাত্রদল নেতা হানিফসহ:
খুনিদের »চিহিডড করে ফাসি দেওয়া এবধু
সারাদেশে সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা!
মসজিদগুলোকে ওয়াকফ করা। তিনি!
বলেন, দাবি পূরণ না হলে তৌহিদী জনতা?
রাজপথে মরণপন সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে বাধ্য হবে।