৫৫/বি (৩য় তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০২-৯৫৬৭১৩০, ফ্যাক্স : ০২-৭১৬১০৮০

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে সুযোগ তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছে

  • হোম
  • বিবৃতি
  • নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে সুযোগ তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আজ ২১ এপ্রিল’২৫, সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের জঞ্জাল দুর করতে জাতি একটি সামগ্রিক সংস্কার প্রত্যাশা করছে। যে সংস্কার হবে দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস, ইতিহাস, ঐতিহ্য সমর্থিত এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জনআকাঙ্ক্ষার অনুকূলে। সংস্কার নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে যে সব কমিশন করেছে তাদের প্রস্তাব মানুষের প্রত্যাশার সাথে অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু নারী বিষয়ক কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এই প্রস্তাব জনরোষ উস্কে দেবে, যা আদতে পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ তৈরি করে দেবে। তাই অবিলম্বে নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব সরকারীভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং কমিশন বাতিল করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন গণ আকাঙ্খা ধারণ করে রাষ্ট্রের মূলনীতি থেকে সেক্যুলারিজমকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। অথচ নারী বিষয়ক কমিশন আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে যে, রাষ্ট্র হবে “ইহজাগতিক”। তাদের প্রস্তাবনা দেখলে মনে হয়, তারা দেশের মানুষকে বোকা মনে করে। সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরেপেক্ষতা শব্দের বদলে তারা “ইহজাগতিক” শব্দ ব্যবহার করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং তা প্রকাশে সুক্ষ্ম প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বহুবছর ধরে পারিবারিক আইন ধর্মভিত্তিক। শুধু বাংলাদেশ নয় বরং ভারতসহ অধিকাংশ দেশেই পারিবারিক আইনের ভিত্তি ধর্ম। কারণ, সকল দেশ ও সভ্যতায় ধর্ম মেনেই পরিবার গঠন হয়। এর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগও নাই। কিন্তু এই কমিশন পারিবারিক আইনের ভিত্তি বদলে দেয়ার প্রস্তাব করে জনরোষ উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। এই ধরণের অপচেষ্টা আমরা সাম্প্রতিক বিজেপির ভারতে দেখতে পাই। আমরা আশংকা করছি নারী কমিশনের সদস্যগণ ভারত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপ্লবোত্তর সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং তাদের সাথে থাকা গণসমর্থনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ ধরণের প্রস্তাব দিয়ে থাকতে পারে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত কিন্তু পারিবারিক আইন থেকে ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থাপনাকে বাদ দেয়া বরদাস্ত করবে না। যদি সরকার নারী কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণ করে তাহলে দুঃখের সাথে বলতে হবে, আমাদের স্বপ্ন আবারো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধর্ম এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকার সমর্থনহীন হয়ে বিক্ষোভের মুখে পরতে পারে। তাই সরকারকে পরামর্শ দেবো, নারী বিষয়ক কমিশন বাতিল করুন। দেশের নারীদের যথার্থ প্রতিনিধিত্ব করে এমন নারীদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন করুন।

শেয়ার করুন

অন্যান্য বিবৃতি

Scroll to Top

সদস্য ফরম

নিচের ফরমটি পূরণ করে প্রাথমিক সদস্য হোন

small_c_popup.png

প্রশ্ন করার জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করে পাঠিয়ে দিন