ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নুরুল হক নুরের মতো ফ্যাসিবাদ বিরোধি পরিচিত নেতাকে যে নৃশংসতায় হামলা করা হয়েছে তাতে দেশ কে চালাচ্ছে, কারা চালাচ্ছে, দেশের কেউ না বিদেশি কেউ চালাচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপরে বর্বোরোচিত হামলার প্রতিবাদে আজ ৩০ আগস্ট, শনিবার বাইতুল মোকররমে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব আরো বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের কারণে পুলিশ বাহিনী অনেক আগে থেকেই কলুষিত। গতকালের ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতির গৌরব সেনাবাহিনীকেও কলংকিত করা হয়েছে। এর পেছনে কারা ক্রিড়ানকের কাজ করছে তা খুজে বের করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকামহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধি লড়াইয়ের অগ্রপথিক নুরের ওপরে এভাবে হামলা কল্পনাও করা যায় না। এর পেছনে ইন্ধন দাতা কারা তা জাতি জানতে চায়। তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতীয় পার্টির মতো নগ্ন দালালদের ব্যবহার করে কেউ সুযোগ নিতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, নুরসহ আমাদের প্রচেষ্টায় গঠিত এ সরকারের পুলিশ ও সেনা সদস্যরা নুরের ওপরে যে স্টাইলে হামলা করেছে তাতে বোঝা যায় এটা কোন আকস্মিক হামলা না বরং পরিকল্পিত হামলা। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণেই তার ওপরে এভাবে হামলা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, ফ্যাসিবাদ এখনো শেষ হয় নাই। আমরা পরিস্কার করে বলে দিতে চাই, জাপাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। জাপার কোন সদস্যকে নির্বাচন করতে দেয়া যাবে না।
তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা চাঁদাবাজদের ধরতে পারেন না কিন্তু একজন জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে পেটাতে পারেন। এটা হতে দেয়া হবে না।
সমাবেশের সভাপতি, ঢাকা উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, গতকাল নুর ভাইয়ের ওপরে হামলা আমাদেরকে ২০০৬ সালের লগি-বৈঠা সন্ত্রাসের কথা স্বরণ করিয়েছে। তার ওপরে হামলা রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত। তিনি সতর্ক করে বলেন, মনে রাখবেন জুলাই যোদ্ধারা এখনো জাগ্রত আছে। আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিবাদের দোসরদের ফিরিয়ে আনার যে কোন চেষ্টা জুলাইয়ের জাগ্রত জনতা রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ। তিনি জোড় দিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টিকে অব্যশই নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাদ আছর অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইউমসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বাইতুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড় হয়ে বিজয় নগরে শেষ হয়।
