অথর্ব সিইসি’র পদত্যাগ করতেই হবে এবং হামলাকারী ক্ষমতাসীন দলের দস্যুদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, গত ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে গোটা দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছে। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা কতটা নির্মম ও পৈশাচিকভাবে বাংলাদেশের একজন জননন্দিত আলেম ও বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে দফায়-দফায় আক্রমন করেছে, চরমভাবে আপমান অপদস্ত করেছে এমনকি শারীরিকভাবে আক্রমন করে রক্তাক্ত করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এ ঘটনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। এতে করে সরকারের ইসলামবিদ্বেষী-আলেমবিদ্বেষী মনোভাব পুনরায় জাহির হয়েছে।
সমাবেশে ২১ জুন নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমূখে অনুষ্ঠতব্য গণমিছিল সফলের আহ্বান জানানো হয়। সেইসাথে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৫ দফা প্রস্তাব এবং ৮দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলার প্রতিবাদ, অথর্ব সিইসি’র পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) হাফেজ সৈয়দ ওমর ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, জয়েণ্ট সেক্রেটারী মুফতী মোস্তফা কামাল, এইচএম রফিকুল ইসলাম, আলহাজ্ব শাহাদাত হোসাইন, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত, শামীম খান, মু. আব্দল আজিজ, মো. পারভেজ মিয়া, মাওলানা শামসুল হক,মুফতী হাবিবুল্লাহ, মাওলান আব্দুর রশিদ সাভারী প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণে ক্ষমতাসীনদের রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসের কথাও নতুন নয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিযুক্ত রির্টানিং কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও মুফতি ফয়জুল করীম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তো দূরের কথা তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাটুকুও পাননি। তাহলে এটা কিসের নির্বাচনী প্লেয়িং ফিল্ড। মিথ্যাবাদী সিইসির লজ্জা থাকা দরকার। তিনি বলেন, ঘটনার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন উন্মাদের মতো মুফতি ফয়জুল করীমের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছেন। এমন একজন কান্ডজ্ঞানহীন বিকারগ্রস্ত মানুষ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকতে পারে না। অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ চাই।
পরে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেই, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব-কদম ফোরায়া হয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে মিছিলের সমাপ্তি হয়। মিছিলে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সিইসি এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।