৫৫/বি (৩য় তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০২-৯৫৬৭১৩০, ফ্যাক্স : ০২-৭১৬১০৮০

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান-এর বক্তব্যের প্রতিবাদ

  • হোম
  • বিবৃতি
  • টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান-এর বক্তব্যের প্রতিবাদ
ইসলামপন্থিদেরকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক বলে গালিগালাজ করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে – ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান-এর বক্তব্য ‘কমিটি বাতিল মৌলবাদের কাছে সরকারের নতি স্বীকার’ এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে দলের মহাসচিব বলেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান ইসলামপন্থিদেরকে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করে চরম ইসলামবিদ্বেষের পরিচয় দিয়েছেন। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তক মুসলমানের চিন্তা চেতনার আলোকেই হতে হবে। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিলেবাসও সে দেশের অধিকাংশ মানুষের চিন্তার আলোকেই প্রণয়ন হয়ে থাকে। কিন্তু কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ বরাবরই ইসলাম ও মুসলমানদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে থাকেন।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয় করতে ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খ ম কবিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে সরাসরি ইসলামকে পছন্দ করেন না এমন দুইজন ব্যক্তি সংযোজন করা হয়। ফলে দেশের ইসলামপ্রিয় জনগণ তার প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে দেয়।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, টিআইবির পরিচালক দেশের ইসলামপন্থিদেরকে পশ্চিমা ভাষায় মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক বলে গালিগালাজ করে চরম ইসলামবিদ্বেষের পরিচয় দিয়েছেন। এ জন্য তাকে মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দেশের বৃহত্তর জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে যে ভাষায় কথা বলছেন টিআই পরিচালক, তাতে মনে হয়, তিনি দেশের মা-বাবা। পশ্চিমাদের দাক্ষিণ্য হালাল করতে পশ্চিমাদের মত ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিদ্বেদের বিষবাস্প ছড়িয়ে জাতিকে বিভক্ত করার মিশন নিয়ে কাজ করছেন টিআইবি পরিচালক।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দোসরদের এদেশে ঠাঁই হবে না। এদেশের মানুষ ইসলামকে নিজের জান-মালের চেয়ে ভালবাসে। পশ্চিমাদের মত ইসলামফোবিয়ায় তারা ভুগেন না। কাজেই এদেশের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ টিকেনি, ভবিষ্যতেও টিকবে না। তিনি টিআইবির পরিচালককে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই কেবল বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। অন্যথায় নয়।

শেয়ার করুন

অন্যান্য বিবৃতি

Scroll to Top

সদস্য ফরম

নিচের ফরমটি পূরণ করে প্রাথমিক সদস্য হোন

small_c_popup.png

প্রশ্ন করার জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করে পাঠিয়ে দিন